সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
অবশেষে সৈকতের বালিয়াড়ি থেকে বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ কাজ গুটিয়ে নিলেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার।
পর্যটন কর্পোরেশন কক্সবাজারের কর্মকর্তারা সৈকতের বালিয়াড়ি দখল করে সু দৈর্ঘ্য বাউন্ডারী দেয়াল নির্মাণ কাজ শুরু করলে কক্সবাজারের পরিবেশ বাদী সংগঠন গুলোর নেতৃবৃন্দ ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেন। নেতৃবৃন্দ তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। কক্সবাজারের পরিবেশবাদী ও সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টায় হোটেল শৈবালের সাগরিকা রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সাবেক মেয়র সরওয়ার কামাল। বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ বন্ধ করে সৈকতের বালিয়াড়িকে উন্মুক্ত রাখার দাবিতে পর্যটন উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তব্য রাখেন, পরিবেশবাদী সংগঠন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন ( বাপা ) কক্সবাজার জেলা কমিটির সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক এইচ এম এরশাদ, সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ্ কলিম, এনামুল হক চৌধুরী, মোহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ ম্যাক্স, গ্রীন কক্সবাজার সোসাইটির সভাপতি কমরেড গিয়াস উদ্দিন, আমরা কক্সবাজারবাসী সংগঠনের সভাপতি নাজিমুদ্দিন ও কামাল উদ্দিন কামাল।
ভয়েস জেলার সভাপতি শাহেদুল ইসলাম শাহেদ, গ্রীন ভয়েস শহর কমিটির সভাপতি শেখ আবরার,আল সুমায়েত,আজমাইন হামীম, এই প্রতিবাদ সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন হোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার, শতায়ু পরিষদ সভাপতি আব্দুল্লাহ খান, নুরুল কবির ও দোকান মালিক ফেডারেশনের নেতা মোস্তফা কামাল।
বক্তারা বালিয়াড়িতে নির্মিতব্য বাউন্ডারি দেওয়াল বন্ধ করে দেওয়ার তিন দিনের আল্টিমেটাম দেন।রবিবার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পর্যটন উপদেষ্টা কে স্মারকলিপি প্রদান, সোমবার নেতৃবৃন্দের সরেজমিনে বালিয়াড়ি পরিদর্শন এবং মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাপা জেলা কার্যালয়ে (জনকণ্ঠ অফিস) পরিবেশবাদী সকল সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। ঐ বৈঠকে বালিয়াড়ি রক্ষার্থে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন বাপা সভাপতি এইচএম এরশাদ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
